এক বছরেরও বেশি সময় পর ক্রিপ্টোকারেন্সি বাজার সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে, যখন মাত্র ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বব্যাপী ক্রিপ্টোমুদ্রার বাজারমূল্য প্রায় অর্ধ ট্রিলিয়ন ডলার কমে গেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্ক আরোপের ঘোষণা থেকে এই ধস শুরু হয়, যা বিশ্বের বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে। এর ফলস্বরূপ, শেয়ার বাজারের পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহও কমে গেছে, যার প্রভাব ক্রিপ্টোকারেন্সি বাজারেও দেখা গেছে।
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, ক্রিপ্টো ট্রেডিং ২৪ ঘণ্টা চালু থাকায় বিনিয়োগকারীরা শনি ও রোববারে ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদ বিক্রি করে দেন, ফলে বাজারে বড় পতন ঘটে। বিশেষ করে ‘ইথেরিয়াম’ ও ‘রিপল’-এর দাম এক তৃতীয়াংশ কমে গেছে, আর ‘সোলানা’ ক্রিপ্টোমুদ্রার মূল্যও এক চতুর্থাংশ হ্রাস পেয়েছে। যদিও বিটকয়েনের দাম এক লাখ ডলারের নিচে নেমে গেলেও, এটি বাজারে শক্ত অবস্থান ধরে রেখেছে এবং এখন বিনিয়োগকারীদের কাছে ‘ডিজিটাল সোনা’ হিসেবে আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
তবে মিম কয়েনগুলোর সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে, বিশেষ করে ট্রাম্পের নতুন চালু করা ‘ট্রাম্প কয়েন’-এর দাম ৭০ শতাংশ কমেছে। ক্রিপ্টো বিশ্লেষকরা বলছেন, মিম টোকেনের অনুমাননির্ভর প্রকৃতির কারণে দ্রুত এই পতন ঘটে। পেট্র কোজিয়াকভ, ‘মার্কারো’ প্ল্যাটফর্মের সিইও, জানান যে, ট্রাম্পের শুল্ক ঘোষণার পর ক্রিপ্টো বাজারে ভয় এবং অনিশ্চয়তার ঢল নামে, যা আবারও প্রমাণ করেছে যে, এই বাজার উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগকারীদের জন্য কতটা অনিরাপদ।